https://www.varendratimes.com/

5102

rajshahi

পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপির ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের বিভাজন, দলীয় কার্যক্রম ব্যাহত

প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৫ ১৪:৫৮

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এর কারণে দলীয় কর্মসূচি সমন্বিতভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা সদর এলাকায় স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে মাঝে মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে।

পুঠিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত রাজশাহী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিভাগীয় শ্রম আদালতের নির্দেশনায় নির্বাচন স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে, ১৪ মে মডেল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন জমিদার অশ্বিনী বাবুর দানকৃত সম্পত্তির সাতটি পুকুর ইজারা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সাবেক উপজেলা বিএনপি সেক্রেটারি ও পৌর মেয়র আল মামুন খানের পক্ষ এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক রায়হানের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে সোহাগ নামের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহত সোহাগের পরিবারকে কেন্দ্র করে রাতে পুঠিয়া রাজবাড়ি বাজারের ওয়ার্ড বিএনপি অফিসে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যার ফলে দুটি মোটরবাইক পুড়ে যায়।

এরপর, ১৬ মে শুক্রবার যুবদল নেতা ফারুক রায়হান পক্ষের তিন জনকে আসামী করে আহত সোহাগ পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৮ মে পুকুর ইজারা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আল মামুন খান দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযোগ তুলেন।

গত ৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচটি পৃথক স্থানে আলাদা কর্মসূচি পালন করেন। এতে তৃণমূলের মধ্যে বিভ্রান্তি ও হতাশার সৃষ্টি হয়।

ভাল্লুকগাছী ইউনিয়নের একজন বিএনপি নেতা জানান, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এক গ্রুপের মিছিল-সমাবেশে অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীরা শত্রুভাবাপন্ন হয়ে ওঠে। ফলে তারা কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। দীর্ঘ ১৬ বছর দমনের পর তৃণমূলের কর্মীরা আর কোনো ধরণের সহিংসতায় জড়াতে চায় না। বর্তমানে পুঠিয়ায় দলের বিভাজনের মূল কারণ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম বলেন, “পূর্বে আমরা পি এন সরকারি হাইস্কুল মাঠে মিলিত হয়ে মিছিল, সভাসমাবেশের আয়োজন করতাম। কিন্তু আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানেও দলের ভেতরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্বের কারণে আলাদা আলাদা স্থানে আয়োজন হয়েছে। উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

অন্যদিকে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠান বিভাগে আলাদা ভাবে হয়নি। বিড়ালদহ প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে উপজেলা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে একসঙ্গে অনুষ্ঠান পালন করেছেন।”