
https://www.varendratimes.com/
4272
festival
প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৪
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আসন্ন মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজ আমরা আলোচনা করবো ২৬শে মার্চের বক্তব্য বা ভাষণ সম্পর্কে। এই দিনে আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে অনেকেরই ২৬শে মার্চের বক্তব্য দিতে হয়। কিন্তু সবাই তো সুন্দর করে বক্তব্য দিতে পারে না। তাই আজকে আমরা ২৬শে মার্চের বক্তব্য/ভাষণ শেয়ার করবো।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য
প্রিয় সহকর্মী, শিক্ষার্থী, এবং বন্ধুগণ,
২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রথম সংগ্রামের ডাক দেয়। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অনন্য মুহূর্ত, যখন আমাদের দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং সম্মান রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে যায়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, তাদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। তাদের ত্যাগের ফলে আজ আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে নিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।
আজকের এই দিনে, আমরা আমাদের দেশের মুক্তির জন্য লড়াই করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাচ্ছি। তাদের ত্যাগ, সংগ্রাম এবং সাহস আমাদের জাতীয় ঐক্য এবং মুক্তির প্রতীক। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সূচনা।
এছাড়া, স্বাধীনতা দিবসের এই দিনটি আমাদের কাছে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন আশা এবং নতুন প্রেরণার সূচনা। আজ আমরা একে অপরকে দৃঢ় সংকল্পে বলি যে, আমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।
এই মহান দিনে, আমরা সবাই একযোগে শপথ করি—দেশকে আরও উন্নত, শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির উন্নতির জন্য কাজ করার মাধ্যমে, আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ ও তাৎপর্য বুঝে উঠতে পারব।
ধন্যবাদ।
বক্তব্য ১
প্রিয় উপস্থিতিবৃন্দ,
আজ আমরা ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছি। ১৯৭১ সালে আজকের দিনেই আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম স্ফূর্তি ঘটেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া প্রতিটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা।
আজকের এই দিনে, আমরা শপথ নেব, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় একসাথে কাজ করব। আমাদের দেশের উন্নতি, জাতীয় ঐক্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীনতা আমাদের চিরকালীন সংগ্রামের ফল, এবং এর সুরক্ষা আমাদের কর্তব্য।
জয় বাংলা!
বক্তব্য ২
প্রিয় বন্ধুগণ,
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের জন্য একটি গৌরবময় এবং ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মানুষ একত্রিত হয়ে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করে। এই লড়াইয়ের পথ ছিল কঠিন, কিন্তু আমাদের নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ় সংকল্প এবং সাহসিকতার কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
আজকের এই দিনে, আমরা এই স্বাধীনতা রক্ষার শপথ নেব এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থে আরও একযোগে কাজ করতে পারি। স্বাধীনতা আমাদের অধিকার, আর এর সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব।
জয় হোক স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের আত্মার প্রতি!
বক্তব্য ৩
আসসালামু আলাইকুম,
আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সাহস আমাদের আজও অনুপ্রাণিত করে।
আজ আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং শপথ নিই—আমরা একত্রিত হয়ে আমাদের দেশের উন্নতি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করব। আমরা দেশের সকল নাগরিককে সমান অধিকার এবং সুযোগ দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
বক্তব্য ৪
প্রিয় সহযোদ্ধারা,
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতার জন্য যে ত্যাগ করেছেন, তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।
এই দিনটি আমাদের চেতনায় নতুন শক্তি এবং অনুপ্রেরণা যোগায়। আজকের দিনটি আমাদের জাতির ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। আমরা শপথ করি, দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করব এবং জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।
জয় হোক স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের!
বক্তব্য ৫
প্রিয় দেশবাসী,
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা, জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে, আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম পা রেখেছিলাম।
আজকের এই দিনে, আমরা দেশের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মত্যাগকে চিরকাল স্মরণ রাখব। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, দেশের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করব। আমাদের দেশ আরও শক্তিশালী, উন্নত এবং সুরক্ষিত হবে—এই আশায় আগামীর পথ চলবো।
জয় বাংলা!
এই ধরনের বক্তব্য স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবদান তুলে ধরে।