
https://www.varendratimes.com/
5118
rajshahi
প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২৫ ১৩:১২
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর ফকিরপাড়া এলাকার মুসলিম জামে মসজিদের ছাদে শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌদি আরবের ঈদের তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি এ নামাজে অংশ নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালেই মুসল্লিরা মসজিদের ছাদে জড়ো হন। আগেই সেখানে ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। নামাজের স্থানে কালো পর্দা টানিয়ে পুরুষ ও নারী মুসল্লিদের পৃথকভাবে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এক ইমামের নেতৃত্বে সামনে পুরুষ এবং পেছনে নারীরা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান, আর পুরুষরা কোরবানির কাজে অংশ নেন।
জানা গেছে, ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মো. আনোয়ার। এ সময় মসজিদের ইমাম আবদুর রহিম গাজীসহ মোট ১০ জন মুসল্লি অংশ নেন—এর মধ্যে আটজন পুরুষ, একজন শিশু এবং দুজন নারী ছিলেন। নামাজ শেষে একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগের ঈদুল ফিতরের নামাজে উপস্থিত ছিলেন ১৯ জন মুসল্লি। তখন ১৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী অংশ নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মুসল্লি গোলাম মোস্তফা জানান, কৃষ্ণপুর মহল্লায় প্রায় ৩০টি পরিবার বসবাস করে। তার মধ্যে এবার পাঁচটি পরিবার ঈদের নামাজে অংশ নেয়। অনেকেই অংশ নেয়নি, হয়তো তারা এ পদ্ধতি মানে না বা বিশ্বাস করে না। তিনি আরও জানান, এবার একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি করা হয়েছে, এবং সবার জন্য একত্রে মাংস রান্না করা হবে।
মসজিদের ইমাম আবদুর রহিম গাজী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের সময়ের পার্থক্য থাকলেও চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারা ঈদ উদযাপন করেছেন। এটি সৌদি আরবের অনুসরণ নয়, বরং চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নামাজে ইমামতি করা মো. আনোয়ার বলেন, "আকাশ একটাই, চাঁদও একটি। আমরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় সময় অনুযায়ী ঈদ পালন করি।"