
https://www.varendratimes.com/
5121
media
প্রকাশিত : ০৯ জুন ২০২৫ ১০:৩৩
সাধারণত, যদি আবেদনকারীর কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা থাকে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অনুসন্ধানের দরকার না থাকে, তাহলে ৭ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তদন্তের গতি ও পুলিশ স্টেশনের কর্মব্যস্ততা অনুযায়ী সময়ের ব্যবধান কিছুটা বাড়তে পারে।
যদি সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়যদি আবেদন করার ১৫ দিনের পরেও সার্টিফিকেট না পান, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আবেদন কেন্দ্র বা থানায় যোগাযোগ করতে হবে। অনেক সময় নথিপত্রে কোনো ভুল বা তথ্যের অভাব থাকলে বা তদন্তে অতিরিক্ত সময় লাগলে এই ধরণের বিলম্ব ঘটে। তাই আবেদনকারীকে অবশ্যই নিয়মিত তার আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা যাচাই করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতিবর্তমানে, আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধায় ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা সম্ভব। পাশাপাশি, চাইলে নিকটস্থ থানায় গিয়ে সরাসরি আবেদন জমা দেওয়া যায়।
অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে সময় বাঁচানো যায় এবং প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
অনলাইনে আবেদন ও অবস্থা যাচাইপুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে সহজেই অনলাইনে যাচাই করা যায়। এজন্য প্রয়োজন হবে—
পাসপোর্ট নম্বর
রেফারেন্স নম্বর (যা আবেদন করার সময় প্রদান করা হয়)
আবেদনকালে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর
অনলাইনে যাচাইয়ের জন্য pcc.police.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে। মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর, “Application Information” মেনু থেকে রেফারেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে সার্চ করলে আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা দেখতে পারবেন।
সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?আবেদন করার সময় সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
কোন ধরনের মামলা বা অভিযোগ থাকলে তা দ্রুত মিটিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নম্বর ও তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
অনলাইনে নিয়মিত আবেদন অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আজকের সময়ে বিদেশ যাত্রা, চাকরি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অপরিহার্য একটি দলিল। সঠিক নথিপত্র জমা এবং কোনো আইনি বাধা না থাকলে সাধারণত ৭ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধায় অনলাইনে আবেদন এবং আবেদন অবস্থার অনুসরণ করাটা এখন অনেক সহজ ও দ্রুত। তবে সময়মতো যদি সার্টিফিকেট না পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাই উত্তম। তাই আবেদনকারীদের উচিত আবেদন প্রক্রিয়া ভালোভাবে জানা এবং নিয়মিত নিজের আবেদন অবস্থা যাচাই করা, যাতে কোন ধরনের ঝামেলা এড়ানো যায় এবং সময়মতো ক্লিয়ারেন্স পেতে সাহায্য হয়।