
https://www.varendratimes.com/
4542
info-tech
প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৫ ১২:০২
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। উন্নত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানোর জন্য স্টারলিংক হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় সমাধান। স্টারলিংক হলো স্পেসএক্সের একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা, যা বিশ্বব্যাপী ব্রডব্যান্ড সংযোগ সরবরাহ করে। বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু হলে এর খরচ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট গ্রহণ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট খরচ বহন করতে হবে, যা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত:
প্রাথমিক সরঞ্জাম ক্রয় (স্টারলিংক কিট):
স্টারলিংক কিটের মধ্যে রয়েছে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, পাওয়ার সাপ্লাই, মাউন্টিং স্ট্যান্ড এবং রাউটার।
আনুমানিক খরচ: ৪৩,০০০ - ৭৪,০০০ টাকা (ডিভাইসের ধরন ও পরিবহন খরচের ওপর নির্ভরশীল)।
মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি:
স্টারলিংকের রেসিডেনশিয়াল প্ল্যানে গ্রাহকদের প্রতি মাসে আনুমানিক ১২০ ডলার বা ১৪,৫৪২ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
কর্পোরেট বা উচ্চগতির সংযোগের জন্য এই খরচ আরও বেশি হতে পারে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ: যেখানে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেই, সেখানে স্টারলিংক উচ্চগতির ইন্টারনেট দিতে সক্ষম।
উচ্চ গতির ইন্টারনেট: সাধারণত ১০০-২৫০ Mbps গতি প্রদান করে, যা ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং এবং রিমোট কাজের জন্য উপযুক্ত।
নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ: ঝড়-বৃষ্টি বা অন্যান্য আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্যায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সহজ সেটআপ: ব্যবহারকারী নিজেই স্টারলিংক ডিশ ইনস্টল করতে পারেন, কোনো অতিরিক্ত ক্যাবলিং বা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রয়োজন নেই।
উচ্চ খরচ: প্রচলিত ব্রডব্যান্ড সংযোগের তুলনায় স্টারলিংকের মাসিক খরচ অনেক বেশি।
প্রাথমিক ডিভাইস সংগ্রহ: বাংলাদেশে সরাসরি স্টারলিংক কিট পাওয়া কঠিন হতে পারে, তাই এটি আমদানি করতে হতে পারে।
বিলম্ব ও লেটেন্সি: স্টারলিংকের লেটেন্সি প্রচলিত ফাইবার অপটিক ইন্টারনেটের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এখনো নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে স্টারলিংক যদি কার্যকরভাবে সেবা দিতে পারে, তবে এটি একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, খরচ কমানো এবং সহজলভ্যতা বাড়ানোর দিকটি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যদি এই প্রযুক্তির প্রতি সহায়ক নীতি গ্রহণ করে, তাহলে এটি দেশের ডিজিটালাইজেশনের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
স্টারলিংক বাংলাদেশে চালু হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে। তবে, খরচ ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যারা দ্রুতগতির ইন্টারনেট চান এবং প্রচলিত অপটিক ফাইবার সংযোগের বাইরে থাকেন, তাদের জন্য স্টারলিংক একটি সম্ভাবনাময় সমাধান হতে পারে।