
https://www.varendratimes.com/
4888
special-report
প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০০:১১
পহেলা বৈশাখ, বাঙালির প্রাণের উৎসব। নতুন বছরের প্রথম দিনে মানুষ পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন আশায় বুক বাঁধে। এই দিনটির মধ্য দিয়ে শুরু হয় জীবনের নতুন অধ্যায়, আর তাই দিনটি উদযাপনের মধ্যেও থাকা উচিত যত্ন, পরিমিতি আর বাঙালিয়ানার ছাপ।
এই দিনে সকালটা শুরু করা যায় একটি পরিষ্কার মন ও শরীর নিয়ে। ভোরবেলা উঠে স্নান সেরে পরিচ্ছন্ন পোশাকে নিজেকে প্রস্তুত করাই যেন ঐতিহ্যের একটি অংশ। ছেলেরা পরে পাঞ্জাবি আর মেয়েরা পরে শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ—এই সাজ যেন আমাদের শেকড়ের প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ওঠে।
পহেলা বৈশাখ মানেই শুধু আনন্দ নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করারও একটি সুযোগ। তাই এদিনে বাড়ির সবাই মিলে একটি দেশীয় রান্নার আয়োজন করতে পারি—ইলিশ মাছ, পান্তা ভাত, আলু ভর্তা কিংবা শুঁটকি—যা আমাদের ঐতিহ্যকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করায়।
এছাড়া পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো, একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করাও এই দিনের সৌন্দর্য। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া যায় ছোট ছোট খেলনা বা বর্ণিল বেলুন, যা তাদের মুখে হাসি এনে দেয়।
বছরের প্রথম দিনে নিজের ভেতরের অবিন্যস্ততা গুছিয়ে নতুন পরিকল্পনা করাও হতে পারে একধরনের আত্মশুদ্ধি। দিনটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনে কিছু নতুন লক্ষ্য স্থির করা যায়—যেমন ভালো মানুষ হওয়া, অন্যকে সাহায্য করা, সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখা।
সবশেষে, পহেলা বৈশাখে আমাদের উচিত পরিবেশের দিকেও খেয়াল রাখা। উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, বরং পরিমিত উৎসবই এই দিনের প্রকৃত সৌন্দর্য।
নতুন বছর হোক নতুন আশার আলোয় উদ্ভাসিত, সংস্কৃতি আর মানবিকতা হোক তার চালিকাশক্তি—এই হোক আমাদের বৈশাখী প্রতিশ্রুতি।