https://www.varendratimes.com/

4936

education

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে, ছয় দফা দাবি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:০২

দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠক হলেও, শিক্ষার্থীরা এতে সন্তুষ্ট হননি। ফলে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৈঠকের পরদিন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর, দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা ‘কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে’ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে মশাল মিছিল আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি মাসফিক ইসলাম জানান, অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে তিন ঘণ্টার আলোচনা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের কোনও সুস্পষ্ট লিখিত প্রমাণ মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করতে পারেনি। যদিও বলা হয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে তার কোনো কাগজপত্র দেখানো হয়নি।

তিনি বলেন, "আমরা স্পষ্ট ফলাফল চাই। আশ্বাস দিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। যাঁদের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল, তারা উপস্থিত ছিলেন না। তাই আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট নই।"

শিক্ষার্থীদের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন, যার কারণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় অতিরিক্ত সচিবকে। শিক্ষার্থীরা এটিকে একটি “নাটকীয় ও অপ্রস্তুত বৈঠক” হিসেবে অভিহিত করেন।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রমজান আলী বলেন, "আমরা নাটকীয় বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছি। কুমিল্লা বিভাগের পলিটেকনিকগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মশাল মিছিল করেছি। এখন আরও কঠোর কর্মসূচি আসছে।"

এর আগে, বুধবার সারা দেশে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, যার ফলে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে, বৃহস্পতিবার রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা হলেও, বৈঠকের আশ্বাসে তা সাময়িক স্থগিত করা হয়।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তাদের দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।