
https://www.varendratimes.com/
4954
lifestyle
প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৫
শৈশবকাল হলো মানুষের জীবনের প্রথম স্তর। আর এ শৈশব শব্দটি শুনলে মনের মধ্যে একটি ভালো লাগার অনুভূতি জেগে ওঠে। শিশুরা আমাদের খুব আদরের। অথচ শিশুদের জীবন ও ভবিষ্যৎ আজ হুমকিতে। ইন্টারনেটের আগ্রাসী ছোঁয়ায় আজ অনেক মানুষ বিপর্যস্ত। তবে এর ভয়াবহতার শিকার প্রধানত অল্প বয়সী শিশু ও কিশোররা।
বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির সংশ্লিষ্টতা ছাড়া জীবনে গতিময়তা আনা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন ভালো দিক আছে তেমনি তার খারাপ দিকও আছে। তবে এর নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে সজাগ থাকা খুবই জরুরি। ইন্টারনেট মানবসভ্যতার একটি বিস্ময়কর অবদান। বর্তমান প্রজন্ম অতিদ্রুত এই প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত হচ্ছে। এক দুই যুগ আগেও শিশু কিশোরদের খেলার সঙ্গী ছিল পাড়া প্রতিবেশীদের সন্তান, নানা ধরনের মাটির হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল। হরেক রকমের খেলা খেলে পার করত নিজেদের সৌন্দর্যের শৈশব-কৈশোরকাল।
বর্তমানে সময়ে শিশুদের খেলার সঙ্গী কার্টুন, মীনা, গোপাল ভাঁড় প্রভৃতি। শিশু কান্না করলে সান্তনা দেয়ার সহজ পন্থা হলো, বাবু তুমি কান্না করো না, তুমি টিকটক গোপাল ভাঁড়, মীনা রাজু দেখো। শিশুর পড়ার বয়সে আত্মঘাতী অনলাইন জগতে আসক্ত করলে তার মেধা কাজ করবে কোন দিকে? তার পড়ার মেধা তো এই অনলাইনের মাঝে ব্যয় করে। ফলে শিশু একটা সময় অনলাইনে আসক্ত হয়ে যায়, আর পড়তে চায় না। পড়লেও পড়া মনে থাকে না। তার মন মানসিকতা সব সময় অনলাইনের দিকে আসক্ত থাকে। শিশুকাল হলো মানুষের জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ। এখান থেকে তার হাতেখড়ি শুরু হবে। তা না হলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর অনলাইনে আসক্তি হয়ে শিশু-কিশোররা ভবিষ্যতে মেধাশূন্য জাতির পথে অগ্রসর হচ্ছ।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন আসক্তি কমাতে অভিভাবকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানকে বকুনি দিয়ে কিংবা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কেড়ে নিয়ে এ অভ্যাস ঠেকানো যাবে না। বরং এতে বিপরীত হতে পারে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আসক্তদের এসব ডিভাইস ব্যবহারের সময়টি ধাপে ধাপে কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সবার আগে অভিভাবককে দেখতে হবে কেন তার সন্তান অনলাইনে বা অনলাইন গেমে সময় কাটানোতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে? শুধু অনলাইন গেম খেলতে কিংবা অনলাইনে থাকতে নিষেধ করলেই হবে না, বিকল্প কোনো খেলাধুলার ব্যবস্থা করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া সন্তানের সামনে অভিভাবকদের স্মার্টফোনে মগ্ন থাকা, খাবার টেবিলে স্মার্টফোন দেখার অভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে।